বিকেলভর চলা এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মাঝে রক্তদানের গুরুত্ব তুলে ধরা, এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, যেন তারা স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহী হয়।
রাণীনগর অর্গানাইজেশনের তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা চা খেতে আসা স্থানীয় ও বাইরের মানুষদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলেন। তারা বুঝিয়ে বলেন, কীভাবে এক ব্যাগ রক্ত একজন মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে, কিংবা জরুরি মুহূর্তে রক্ত না পাওয়ার কষ্ট কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
তরুণদের মুখে এমন আন্তরিকতা দেখে অনেকেই রক্তদানে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ বলেই ফেলেন “রক্ত দিলে শরীর খারাপ হয় না, বরং কারো জীবন বাঁচানো যায়, এ কথা আগে কেউ এমনভাবে বোঝায়নি!”
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষকে রাণীনগর অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট www.raninagar.org সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়। এতে তারা জানতে পারে কীভাবে রক্তদাতা হিসেবে নাম রেজিস্টার করা যায়, এবং প্রয়োজনে কিভাবে রক্তদাতা খুব সহজে সংগ্রহ করা যায়।
অনেকেই সেই মুহূর্তেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজের তথ্য যুক্ত করেন। নতুন রক্তদাতার তালিকাও সেখানে হালনাগাদ হয়েছে।
এই আয়োজনে রানীনগর অর্গানাইজেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা যেভাবে নিজেদের সময়, শ্রম ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের সঙ্গে রক্তদানের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
এ ধরনের আয়োজন শুধু সচেতনতা তৈরি করে না, বরং সমাজে মানবতা, সহানুভূতি ও পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর চেতনা জাগ্রত করে।
রাণীনগর অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন বাজার, স্টেশন ও জনবহুল স্থানে এমন মানবিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।
সংস্থাটির এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন : “আমরা চাই, রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলার আশপাশের প্রতিটি গ্রামে যেন এমন মানুষ থাকে, যিনি বিপদের সময় রক্ত দিয়ে একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। এছাড়াও বলেন ভবিষ্যতে এই সেবা বিস্তৃত করা হবে পুরো জেলা ঘিরে।”